সাবজেক্ট রিভিউঃ ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন
ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই):
বর্তমান যুগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তি ছাড়া এই বিশ্ব অচল। যুগের সাথে তাল
মিলিয়ে ২০১৩ সালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি' নামে
বিভাগের যাত্রা শুরু করে যা ২০১৫ সালের শুরুতে 'ইনফরমেশন এন্ড
কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং' নামে আত্মপ্রকাশ করে। এই
ডিপার্টমেন্টের আছে পর্যাপ্ত টিচার, মাল্টিমিডিয়া
প্রোজেক্টরের ক্লাসরুম, এবং আধুনিক ল্যাব সুবিধা। NSTU এর
সেরা ডিপার্টমেন্ট গুলোর মধ্যে 'ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন
ইঞ্জিনিয়ারিং' অন্যতম।
.
আসো জেনে নেয়া যাক সবজেক্ট হিসেবে ইনফরমেশন এন্ড
কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং(আইসিই) অবস্থা:
.
Information and Communication Engineering (ICE) হচ্ছে Information
Engineering এবং Communication Engineering এর সমন্বয়ে গঠিত একটি
সাবজেক্ট এর সাথে Computer Science, Computer Scinece &
Engineering, Communication Engineering, Software Engineering
Telecommunication এর সাথে সম্পর্ক রয়েছে।.ইচ্ছা যদি থাকে
টেকনিক্যাল কোন সাবজেক্টে পড়ার, তাহলে ICE তে কোন চিন্তা
ছাড়াই আসতে পারো।
কেবল, টেকনিক্যাল সাবজেক্টে পড়ার ইচ্ছা থাকলেই হবে না
,থাকতে হবে সৃজনশীল চিন্তা করার ক্ষমতা, নতুন কোন কিছু করার
দক্ষতা, ধৈর্য, সাধনা, চেষ্টা এবং চিন্তাশক্তি । আইসিইতে পড়তে
হলে অবশ্যই এসব জিনিস তোমার মাঝে লালন-পালন করতে হবে ।
আইসিই ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হওয়ার সময় সবার কিছু কমন প্রশ্ন
থাকে –
.
১. ICE তে পড়লে Future কি ???
২. ICE তে পড়ে কি ভাল Job পাবো তো? ?
.
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এই যুগে এইসব প্রশ্ন হাস্যকর। অন্যান্য
সাবজেক্টের জব থেকে ICE সেক্টরের জব একটু আলাদা। সাধারনত
অন্যান্য সাবজেক্টের জবে ভাল রেজাল্ট (CGPA) কে প্রাধান্য
দেয়া হয় ,
.
আর ICE সেক্টরের জবগুলোতে যে জিনিসটি প্রধানত প্রাধান্য দেয়
তা হল তোমার #দক্ষতা । অনেক জব সার্কুলারে লিখা থাকে “We
donot care your Academic Qualification, We need your skill”। তুমি ভালো
কাজ জানলে তোমার জব খোজাঁ লাগবেনা, জব তোমাকে খুঁজে
নিবে। বিশ্বের Giant Organization যেমন Microsoft, Google, Facebook এ
আমাদের দেশের ভাইয়ারা গর্বের সাথে জব করছেন । বাংলাদেশে
অনেক প্রতিষ্ঠিত আইটি ফার্ম রয়েছে , অনেক মোবাইল কোম্পানি
, অনেক multinational IT firm আছে ।
তোমার যদি ইচ্ছে থাকে প্রোগ্রামিং উপর ভালো কিছু করতে
কিংবা অনেক ভালো প্রোগ্রামার হওয়ার। এই ডিপার্টমেন্টে
থেকে করা সম্ভব। তার জন্য দরকার একাগ্রতা,লেগে থাকার ইচ্ছা।
সাম্প্রতিক কালে ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন ভাইয়া-আপুরা বিভিন্ন
ন্যাশনাল, ইন্টার ন্যাশনাল প্রোগ্রামিং কন্টেস্টে অনেক ভালো
করে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
তোমার আগ্রহ থাকলে তুমি অনেক ভালো ফ্রিলেন্সার হতে পারবা
। প্রতিষ্ঠিত এরকম অনেক ফ্রীল্যানসার উদাহারন তোমার আশে
পাশেই আছে । আইসিই ডিপার্টমেন্টে ও অনেক ভাইয়া আপুরা
ফ্রিলেন্সিং এ সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
তোমার ইচ্ছে যদি থাকে আইটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলার, গড়ে তুলতে
পারো ।
এছাড়া গাজিপুর এ আইটি ভিলেজ হতে চলেছে । দেশের বাইরে
চাইলে চলে যেতে পারবা ।
.
আইসিই তে ভালো করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন নিজের
আগ্রহের বিষয়ে (Programming, Graphics , Web design, Networking,
Database developer, Freelancing, etc ) দক্ষতা অর্জন করা প্রথম কাজ ।
So , জব নিয়ে পরে চিন্তা করলেও হবে । বর্তমানে Class Six To
Eleven পর্যন্ত ICT(তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি )
সুতরাং,ICEan দের কদর দিন দিন বেড়ে চলছেই।
#তবে_ভাল_রেজাল্টের_ক¬দর_সব_জায়গায়ই_রয়েছে ।
-কিছু প্রশ্ন অনেকের মনে চলে আসে ।
.
ভাইয়া ICE, IT আর ICT কি এক? .
এক কথায় উত্তর দিলে এক।
DU, JU তে বর্তমানে IIT আছে ।
CoU, তে ICT। PUST, RU আর NSTU তে ICE আছে।
NSTU তে ICE তে #Engineering ডিগ্রি দেওয়া হয়।
.
আইসিই এর ওয়েবসাইটঃ
http://icenstu.edu.bd/
.
এইখানে তোমরা আইসিইতে যে যে সাবজেক্ট পড়ানো হয় তা দেয়া
আছেঃ
http://icenstu.edu.bd/the-course-curriculum-of-ict-departm …/.
আইসিই সম্পর্কে এই ভিডিওটি দেখতে পারো।
https://www.youtube.com/watch?v=i2mUkNl2HAA
যে সাবজেক্টেই পড় !!! সবার আগে দরকার, সেই সাবজেক্টের প্রতি
ভালবাসা সৃষ্টি করা। তুমি যদি কোন সাবজেক্ট কে ভালোবাসো
সেই সাবজেক্টে তোমার সাফল্য নিশ্চিত।
পরিশেষে বলতে চাই, যদি টেকনোলজির আদলে নিজের
সৃজণশীলতাকে বিকশিত করতে চাও, এবং নিজের জীবন গড়তে চাও
তাহলে আমাদের স্বপ্ন সারতীতে(আইসিই) তোমাদের স্বাগতম ।
ধন্যবাদ সবাইকে।
লেখক,
ইমতিয়াজুর রহমান
তৃতীয় বর্ষ
ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) বিভাগ।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
BME: Biomedical Engineering (Subject Review) "বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং" বাংলাদেশের বেশ কিছু ইউনিভার্সিটিতে চালু হওয়া প্রকৌশল বিদ্যার একটি শাখা।এদেশে তুলানামুলক নতুন হলেও উন্নত বিশ্বে এর কয়েক দশক পার হয়ে গেছে। BME কি?বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ কি?দেশ বিদেশে চাকরি ও গবেষণার সুযোগ ইত্যাদি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হল। #BME কি? বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং হল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সেই শাখা যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞান প্রয়োগ করে মেডিক্যাল সাইন্সয়ের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হয়।বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমেই মেডিকেল সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর মধ্যে যে বিস্তর ফারাক তা দূর করেছে।বলা হয়ে থাকে যেখানে ডাক্তারদের সামর্থ্য শেষ সেখানেই বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ শুরু। বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের ছাড়া কখনোই চিকিৎসা বাবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়।কেন নয়?পড়তে থাকুন... #বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ কি?/বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্র কি কি? অনেকের ভুল ধারণা আছে যে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ হল শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রের ব্যবহার ও তার রক্ষণাবেক্ষণ। কিন্তু এটি হল খুব ক্ষুদ্র একটি ক্ষ...
Comments
Post a Comment